বর্তমান বিজ্ঞান চিন্তা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা -নির্ঝর চাকমা

 বর্তমান বিজ্ঞানচিন্তা ও  সামাজিক দায়বদ্ধতা

-নির্ঝর চাকমা


বর্তমানে যেটি বিশ্বের চালিকাশক্তি হতে চলেছে সেটি হলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি। এই ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি হবে যে কোনো জাতির উন্নতির হাতিয়ার।উদাহরন স্বরূপ বলা যাই:বর্তমানে বিশ্বের অধিকাংশ বড় কোম্পানিগুলো  প্রযুক্তির ব্যবসা করে।আর যদি জাতির অস্তিত্বের কথা বলা হয় তাহলে বলা যায় ইহুদি জাতির কথা।যারা হাজার বছর ধরে নির্যাতনের শিকার হয়ে এসেছিল।বর্তমানে তারা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতি ঘটিয়ে বিশ্বের সুপারপাওয়ার এ পরিনত হয়েছে।এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মহিমায় কোনো জাতি আর্থিক ভাবে যেমন উন্নতি করতে পারবে ঠিক তেমনি পারবে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে।

যদি আসা যায় পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রসঙ্গে তাহলে এখানকার ছেলে মেয়েদের মাথাই ছোট থেকেই ফিট করে দেওয়া হয় যে সরকারি চাকরি না করলে জীবন ব্যর্থ।এখানে তাই একপ্রকার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির চর্চা নেই বললেই চলে।থাকবেই বা কি করে এই সমাজে শুধু সরকারি চাকরিজীবিদের মূল্য দেওয়া হয়।অথচ আমাদের উন্নতির জন্য প্রয়োজন প্রচুর পরিমানে বিজ্ঞান প্রযুক্তি চর্চা।

আমরা শিল্প বিপ্লবে অংশ নিতে পারিনি কারন আমরা তখন শিক্ষিত ছিলাম না।কিন্তু এখন আমরা উচ্চ শিক্ষিত। এই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিপ্লবের সময় আমরা যদি বিজ্ঞান চর্চা না করে আমরা মুখস্থ বিদ্যার পেছনে ছুটি তাহলে আমাদের জাতি রসাতলে যাবে যেখান থেকে উঠে আসা একপ্রকার অসম্ভব। 

বিজ্ঞান চর্চায় ব্রতী হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণ করা আমাদের প্রত্যেকের লক্ষ্য হওয়া উচিত। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রসঙ্গে বলা যায় এখানে এখনও বিজ্ঞান ভিত্তিক সেমিনারের অস্তিত্ব নেই।অথচ আমাদের এখানে গবেষক সংখ্যা অপ্রতুল।একটি জাতির অস্তিত্ব অনেকাংশে নির্ভর করে সে দেশের প্রযুক্তি কত উন্নত। জাপান প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে স্বয়ং সম্পূর্ন হওয়াই তাদের আজ ইংরেজি শিক্ষার প্রয়োজন হয় না।হতে হয় না আমাদের মতন কোনো ভাষা না পারার জন্য হেনস্তার শিকার।

জুম্ম অভিভাবকদের ও উচিত তাদের সন্তানদের বিজ্ঞান চর্চায় উৎসাহ দেওয়া।কারন সন্তানের প্রথম শিক্ষক তারাই।এতে দেশ জাতির উপকার ব্যতীত অপকার হবে না।এতে তাদেরকে কল্পনা শক্তি প্রবন করে তোলার দায়িত্ব আমাদের তরুন সমাজকে নিতে হবে।কারন কল্পনা ও চিন্তাশক্তির প্রসারেই একজন মানুষ ভালো মন্দ বিচার পূর্বক বিজ্ঞানে পারদর্শী হয়ে ওঠা যায়।

তাই জুম্মো শিক্ষার্থীদের উচিত শুধু একাডেমিক বই পুস্তক না পড়ে তার পাশাপাশি বিজ্ঞান মনস্ক বই পুস্তক পাঠের অভ্যাস করা।সামগ্রিক ভাবে জাতির কল্যাণে হাতে হাত রেখে কাজ করা।

নির্ঝর চাকমা

ইলেকট্রিকাল এন্ড ইলেক্টনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং,বুয়েট

২২-২৩ সেশন

Comments

  1. অনেক ভালো লাগলো পড়ে,

    ReplyDelete

Post a Comment